ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত ধলঘাটায় প্রায় শত কোটি টাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। পাশাপাশি চলছে ব্লক নির্মাণেরও কাজ। কিন্তু টিকাদাররা নি¤œ মানের কাজ করায় কামরুল ইসলাম চেয়ারম্যান টিকাদারদের কাজের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সূত্র জানায় , ১৯৯১ সালে প্রলয়ংকারী সর্বনাশা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে সাগর ও নদী ঘেরা মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নটি একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। পরবর্তিতে সৌদি অর্থায়ন ও বেসরকারী সাহায্যকারী সংস্থার উদ্যোগে কয়েকবার বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও ব্লক বসানো হয়েছে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের প্রবল জোয়ারের পানির ধাক্কায় ধলঘাটার পশ্চিমের এবং দক্ষিণ পাশে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে খান্ খান্ হয়ে যায়। যার ফলে বর্তমানে উক্ত ইউনিয়নের ১, ৩ ও ৫নং ওয়ার্ডের অধিকাংশই বসতবাড়ি সাগরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গেল বছর সুনামির পানির ধাক্কা এসে ধলঘাটা বেড়িবাঁধের উপর পড়লে নির্মাণ করা বেড়িবাঁধ নিমিষে বিলীন হয়ে যায়। যার ফলে পুরো ধলঘাটা এক বছর ধরে জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত ছিল। সর্বশেষ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবাধনে এ বছর গেল বছরের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রায় শত কোটি টাকার ব্যয়ে ৫টি টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছে ঠিকাদাররা। ঠিকাদাররা বেড়িবাঁধ নির্মাণে অত্যন্ত নি¤œ মানের কাজ করায় স্থানীয় চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ঠিকাদারদের কাছ থেকে আমি বারবার কাজের সিডিউল চাইলেও ঠিকাদাররা কোন অবস্থাতে সিডিউল দেখাচ্ছে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন সিডিউল মোতাবেক কাজ না হলে আমি কোন অবস্থাতে কাজের সন্তোষজনক সনদপত্র ঠিকাদারদের দেব না। আমি চাই টেকসই বেড়িবাঁধ । এদিকে নবির হোসেন মেম্বার, আজিজুল হক , প্যানেল চেয়ারম্যান নাছির ও আক্তার মেম্বার জানান, বেড়িবাঁধ নির্মাণ টেকসই হলে প্রতিবছর ধলঘাটা থেকে কোটি কোটি টাকার লবণ ও চিংড়ী উৎপাদন করতে সক্ষম হব।
পাঠকের মতামত: